বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আইন ২০১০ বাতিল: নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর
- By Jamini Roy --
- 30 November, 2024
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ বাতিল করে সরকার নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেট প্রকাশিত হয়। এই অধ্যাদেশটির নাম ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী গেজেটে সই করেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাতিল হওয়া আইনটির আওতায় পূর্বে সম্পাদিত চুক্তি বা গৃহীত কোনো কার্যক্রম বৈধ এবং কার্যক্রমগুলো এমনভাবে সম্পন্ন করতে হবে যেন আইনটি এখনও রহিত হয়নি। একইসাথে সরকার জনস্বার্থে এসব কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।
গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের একটি রায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর ৬(২) ও ৯ ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের প্রেক্ষিতে সরকার আইনটি বাতিলের উদ্যোগ নেয়।
এরপর ২০ নভেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর বৃহস্পতিবার এটি কার্যকর করা হলো।
২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে বিশেষ প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, অস্বচ্ছ চুক্তি এবং বিশেষ বিধানের অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনা উঠে।
আইনটি বাতিল হলেও এর আওতায় সম্পাদিত চুক্তিগুলো বহাল থাকবে। তবে চলমান কার্যক্রমগুলো পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার সরকার সংরক্ষণ করবে।
সরকার জনস্বার্থে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে নতুন নীতিমালা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। নতুন আইন ও নিয়ম প্রণয়নের মাধ্যমে এই খাতকে উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।২০১০ সালের বিশেষ বিধান বাতিল হওয়া দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নতুন দিক উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এটি স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নীতি-নির্ধারণী স্তরে গণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।